Saturday 18 April 2009

সুমন রহমানের চৌর্যবৃত্তি -ঝরা সৈয়দের গুল্লি কামান

বাংলা ব্লগের ইতিহাস দ্রষ্টা হতে চাওয়া সুমন রহমানের কাব্যিক চৌর্য্যবৃত্তিকে একেবারে জনসম্মুখে নেংটো করে দিলো ব্লগার ঝরা সৈয়দ।

সা-ইনে পোষ্ট http://www.somewhereinblog.net/blog/jharasayed/28939806


আগে ভালোচনাটুকু পড়ুন। তারপর হট বা সেকসি গল্পটি পড়বেন। মজা পাবেন।১.পাখি বলের নাম ফেসবুক বন্ধু তালিকা থেকে কেটে দিয়েছেন সুমন রহমান। তিনি কবি। কবিতা লেখেন। তার কবিতার প্রিন্ট বের করেছেন কাজল চাচা। কাজল চাচা নিজে কবিতা টবিতা লেকেন। অন্যদের কবিতাও পড়েন মনোযোগ দিয়ে। আমার কবি প্রতিভা নাই দেকে বকাঝকা করেন।সুমন রহমানের কবিতাটি দেকলাম। নাম- মেঘশিশু। পরিচিত টচিরিতি মনে হল নামটা। বললাম, কোথায় যেন দেকেচি এই নামটা?চাচা গজ গজ করে ভরলেন, কোথায় আবার, জয় গোস্বামীর বিখ্যাত কবিতা- মেঘবালিকা। এখান থেকেই সুমন রহমান টুকলি কইরা দিছেন।বললাম, তাতে কি হয়েচে? এক নামে কি অনেক কবিতা হতে পারে না? এই যেমন- রবীন্দ্রনাথের সঞ্চয়িতা। নজরুলের সঞ্চিতা। নামে কি অসাধারণ মিল। করে ঝিলমিল।চাচা রেগে গেলেন, পারবে না কেন ? কবিতা অনেক রকম হতে পারে। আর রবীন্দ্রনাথ নজরুলের কথা বলছিস? ওনাদের মধ্যে কি কোনো নোংরামী ছিল? অসৎ উদ্দেশ্য ছিল? জীবনে খারাপ কিছু করেছেন? খারাপ দলে মিশেছেন?-কথা বলতে বলতে রাগ কেন চাচা?- রাগব না। এই সুমন রহমানরা বাংলাদেশের আশি দশকের আগের কবিতাকে বলল, ওগুলো কবিতা না। ওগুলো রাজণীতি নির্ভর কবিতা। কবিতার দায় মেটায়নি। কবিতা হবে নন্দনিকতার সূত্র মেনে। নিজস্ব স্টাইল থাকতে হবে। আর নিজেরা কবিতা লিখছেন অন্যের শব্দ ধার কইরা। অন্যের স্টাইল ধার কইরা। পাখি বলে তো বলছেন- সুমন রহমান পশ্চিম বঙ্গের কবি রনজিৎ দাশকে অনুসরন কইরা কবিতা লিকছেন। তার নিজের কবিতার ভাষা নেই। সুমন রহমানদের কবিতা পড়লেই মনে হয়, অন্যের কবিতা পড়ছি।আমি বললাম, চাচা, পাখি বলে বললেই তো আর হবে না। সেতো ভুলও বলতে পারে?চাচার সাফ সাফ কথা, সেটা প্রমাণ করার দায়িত্ব কবি সুমন রহমানের। তার কবিতার যে নিজের স্টাইল আছে - অন্যের কবিতার স্টাইল তার কবিতায় না- সেটা প্রমাণের দায়িত্ব তার। তা না করে তিনি সমালোচনা সহ্য করতে পারছেন না। যারা তার মতের বিরুদ্ধে যাচ্ছেন তাদের নাম ধমাধম করে তার ফেন্ডস লিস্ট থেকে কেটে দিচ্ছেন। তারিক টুকু, কালো কালি দাশের নাম কেটেছেন। আরো অনেকের কেটেছেন। এটা তো ঠিক নয়! তর্কের জায়গাটা খোলা রাখতে হবে। এটা বন্ধ করা অন্যায়- স্বেচ্চাচারিতা। এটা কি হিটলারি ফিলোসফি? এটা তো সভ্যতা নয়! অভিযোগকে অপ্রমাণের দায়িত্ব নিতে হবে অভিযুক্তকেই। এটাই সততা।- তাহলে সুমন সুমন রহমান কি অসততা করেছেন?-কেন নয়? উনি তো একবার সাজ্জাদ শরীফের বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ কবিতা সংকলনে তার নিজের কবিতা নেই দেখে গোস্বা করলেন। যাদের কবিতা আছে তাদের কাছে জানতে চাইলেন, কিভাবে তাদের কবিতা গেল। আবার যখন প্রগতিবাদিরা সাজ্জাদ শরীফের গোষ্ঠীবাজির সমালোচনা করলেন, তখন কিন্তু দলের জন্য তার দরদ উথলে উঠল। সাজ্জাদ শরীফকে রক্ষার জন্য বলে উঠলেন, না, না সাজ্জাদ শরীফ ঠিক কাজটিই করেছেন। আবার অন্য নোটে সাজ্জাদের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ করলেন। তালিকা দিলেন সাজ্জাদ কি কি ভুল করেছেন। এইগুলা কি? ভণ্ডামিা নয়? প্রতারণা নয়? অসততা নয়?- উনি তো বেশ পড়াশোনা জানাওয়ালা লোক। তরক বিতরকে অংশ নেন।- রাখ তোর পড়াশোনা। ওরা হল জ্ঞানপাপী। ভুয়া পণ্ডিত। সিউডো ফিলোসফারের গুষ্ঠিতে নাম লেখাইয়া সব খুয়াইয়া বইছে। গুষ্ঠিবাজি করে করে ওদের মাথা ঠিক নাই।কাজল চাচা রাগে গজ গজ করতে করতে সুমনের তর্কের নোট, কবিতার প্রিন্টগুলো ছিড়ে টয়লেট বক্সে ফেলে দিলেন। বাসা থেকে বেরিয়ে গেলেন। আমি হা করে চেয়ে রইলাম। কিছু ঢুকল না আমার মাথার মধ্যে।
২.তামান্না বলল, শোন তোর এইসব জটিল কথাবার্তা বোঝার দরকার নেই। একটা গল্প শোন। গল্পটা একটু হট বা সেকসি। মৌসুমি আন্টি আম্মুকে শোনচ্ছিল সেদিন, আমি শুনে ফিলেছিলাম।হট বা সেকসি গল্প-------------------------এক ছেলের নাম হিমু। সে হলুদ পাঞ্জাবি পরে ঘুরে বেড়ায়। তার সখ হল ছিপ পেতে মাছ ধরা।একবার দেশে ভয়ানক খরা হল। খাল-বিল-নদী-নালা-পুকুর-ডোবা সব শুকিয়ে গেল। মাছ ধরার জল নাই। হিমু কিন্তু শুকনো পুকুরে ছিপ পেতে বসে রইল সারাদিন। লোকজন ধরে তাকে একদিন বাসায় দিয়ে গেল। ওর বাবাকে বলল, আপনার ছেলের মাথা ঠিক নাই। পাগল হয়ে গেছে।বাবা আর কি করেন। ওকে পাবনায় মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করে দিলেন। ২/৩ বছর সেখানে চিকিৎসা চলল হিমুর। ডাক্তারা যা বলেছে হিমু তাই করেছে। ডাক্তাররা মনে করলেন, হিমু এবার সম্পূর্ণ সুস্থ। ওকে ছেড়ে দেওয়া যায়। ছেড়ে দেওয়ার আগে একজন সাইকোথেরাপিষ্ট হিমুর ফাইনাল চেকআপ করলেন।সাইকোথেরাপিষ্ট বলরলন, হেমু, তুমি এখন সুস্থ। তোমাকে ছেড়ে দেওয়া হলে তুমি কি করবে?হিমু চটপট উত্তর দিল, কেন, বাড়ি যাব।- গুড। খুশি হলেন সাইকোথেরাপিষ্ট। বাড়ি যেয়ে কি করবে?-আমার বাণ্ধবী মায়াকে ফোন করব।- তারপর?- মায়াকে আমার বাসায় আসতে বলব।-তারপর?ও এলে ওকে ঘরে নিয়ে ঘরের দরোজা আটকে দেবো।সাইকোথরাপিষ্ট খুব খুশি হচ্ছেন। এইতো সুস্থ যুবকের মতো কথা। বললেন, তারপর?- ওর কাপড় খুলব।- তারপর?-এর ব্লাউজ খুলব।-তারপর?-ওর পেটিকোট খুলব।এইবার সাইকোথেরাপিষ্ট আরও খুশি ও উত্তেজিত হয়ে বললেন, তারপর, তারপর?-ওর পেটিকোটে যে দড়িটা দিয়ে গিট দেয় সেটা খুলে ফেলব। সেই দড়িটা একটা ছিপে বেঁধে মাছ ধরব।
আমি হাসতে হাসতে বললাম, তামাননা এই গল্পটিার অর্থ কি?- তামাননা জবাব দিল, হিমু আগে ছিল পাগল। পাগলা গারদে যাইয়া হইসে বদ্ধ বদ পাগল।
৩.তামাননা কি সব বলে। ওর মুখে কিছু আটকায় না। অনেকদিন অস্ট্রেলিয়ায় ছিল তো ওরা। এ মা! আমার কিন্তু খুব শরম লাগছে। আপনাদের?
৪.একটা কবিতা লেখার চেষ্টা করছি। এইটা ১০০%মৌলিক কবিতা। নন্দনিকতায় ভরপুর। এবং কোন রাজনৈতিক দায় নেই এবং আশি পরবর্তী একটি দুর্মর কবিতা। আশা করি বোদ্ধাজনেরা বাংলা কবিতা সংকলনে ইনক্লুসিভ তত্বে ইহাকে অন্ন্তর্ভুক্ত করতে ভুল করবেন না। এবং হে খোদা কাজল চাচার চোখে যেন না পড়ে। আমেন।
তোমার আমার মিলকরে ঝিলমিল
মাথা ভর্তি পচা গোবরকরছে কিলবিল

Saturday 14 February 2009

ব্লগারদের বই বিজ্ঞাপন

শুরু হয়ে গেছে বই মেলা......।মোহিতলাল মজুমদার লিখছিলেন "পুঁথির প্রতাপে" এখন কাগজ কলম হাতে পেলেই লেখক হয়ে যায় সবাই।বাংলা ব্লগের অনেক ব্লগারদের বই প্রকাশিত হচ্চে এবার।চেনা অচেনা নিয়মিত অনিয়মিত কবি গল্পকার উপন্যাসিক -কি নেই?সাম-ইন ব্লগের এক কবি আমেরিকা থেকে উড়ে গেছেন জাগ্রিতি প্রকাশনি থেকে বই প্রকাস করতে।সচলায়তনের ২৯জন লেখক বই প্রকাশ করছে।এত বই কে কিনবে কে পড়বে সেটা বড় প্রস্ন।

অনলাইনে ফ্রি লেখার সুযোগ পেয়ে এখন লেখকবৃন্দ ফ্রি বিজ্ঞাপনের উপায় খুজেন।এরমাঝে অন্যতম হল ফেসবুক।নিজে কিংবা বন্ধুদের দিয়ে পেজ/গ্রূপ খুলিয়ে বইয়ের বিজ্ঞাপন চলছে।সবচেয়ে হাস্যকর ব্যাপারটা হল

ফেসবুকে প্রফাইলে ছবির জায়গায় বই'এর প্রচ্চদ যোগ করা।দেখে মনে হয়, যেন বিজ্ঞাপনী বোর্ড ভাড়া করতে না পেরে বা দেয়াল লিখনের সুযুগ না পেয়ে উদোম শরীরে খালি গায়ে রঙ মেখে পন্যের বিজ্ঞাপন প্রচার......।

Thursday 1 January 2009

নির্বাচনের পরে নিউ সা/ইন, নিউ আরিল্ড-জানা

গত লিখার শেষে বলেছিলাম,নরওয়ের কর্পোরেট বণীক যত দ্রুত বাঙালির স্বাধীন চেতা ভাব বুঝবে ততই মংগল । ইংগিতটা ছিল সামোহয়ারিনব্লগের আরিল্ড ও তার টিমের উপর,সেটা অস্পষ্ঠ ছিল না । তবে এবার আরিল্ড-জানা আমাকে উলটা চমক দেখাল। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবী এবং নিরবাচনে যুদ্ধাপরাধীদের বয়কটের জন্য যেই স্টিকি নোটিস সা/ইনের বাম পার্শ্বে লাগান হয়েছিল তা মোটও কর্তৃপক্ষের কোন সিদ্ধান্ত ছিল না । অমি রহমান পিয়ালের 'যৌবনযাট্রা' প্রযেক্ট নিয়ে সা/ইনে তর্ক বিতর্কের এক পরযায়ে ব্লগার মুকুল দাবি তোলেন - সামহোয়্যারে "যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই" শিরোনামে ব্যানার চাই

ফিউশন ফাইভ ব্লগার এক কমেন্টে বলেছেন - এই পোস্ট মুকুল লিখে নাই । মুকুলের এক বড় ভাই লিখে দিয়েছেন ,যিনি কিনা আলোচিত ব্লগার । কে লিখে দিল, বা কে পোষ্ট করল তারচে' বড় কথা এর পরে আরও অনেক ব্লগার যখোন নিয়মিত মুকুলের পোষ্ট কপি পেষ্ট করে ১ম পাতা দখল করে ,তখন সা/ইন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবী এবং নিরবাচনে যুদ্ধাপরাধীদের বয়কটের জন্য যেই স্টিকি নোটিসলাগায়-


নিরবাচনের দিন বিকালে মাইক্রোব্লগিং'এ আরিল্ডের বৌ, জানা, হঠাত করে যুদ্ধাপরাধীদের ভোট না দেয়ার জন্য আহবান জানায় । আরও অবাক হলাম যখন ভোটের ফল শেষে আরিল্ডও একই রকোম দাবি নিয়ে ব্লগিং করল ,এখানে শেষ নয় । স্টপ জেনোসাইড সাইটকে হাইপার লিংক করে বেশ মুক্তিযুদ্ধের পক্কের লোক সাজার চেষ্টা করছে সা/ইন । সাথে ছিল জামাল ভাষ্করের ষ্টিকি পোষ্ট ।জামাল ভাষ্কর এর আগে ব্রাইত্ত রাইসুর সাথ জামাতকে ঘৃনা না করার প্রস্তাবে ভার্চুয়াল লড়াই করেছিল ।

নির্বাচনের পরে সা/ইনের এই পরিবরতন দেখে ভাবলাম -এই কি সেই সা/ইন যেখানে নিজামির ছবি সরানোর জন্য,১টা ব্যানার বিজয় দিবসে করার জন্য এক ঝাঁক ব্লগার সচলায়তন নামের রাইটারস কমুনিটি করেছিল ।এই কি সেই সা/ইন যেখানে জামাতি ব্লগারদের তাড়াতে রাতের পর রাত পোষ্টে কমেন্টে লড়াই করত এটিমের সাহসি ছেলেরা?যারা পরে নিজেদের প্লাটফরম মডারেশনহীন আমার ব্লগ তৈরি করেছে ।এই কি সেই সা/ইন যেখানে শহীদের সংখ্যা নিয়ে জামাতি প্রচারনার পোষ্ট সরানোর জন্য১০ জন মেইল করলেও কাজ হত না?

সবার কথা বলার রাইট আছে,এই যুক্তিতে আরিল্ড-জানা এতদিন জামাতি ব্লগারদের প্রশ্রয় দিয়ে গেছে,প্যাচালি ব্লগ বন্ধের পরে ওখানকার সব জামাতি ব্লগার সা/ইনে ভীড় করেছে ,এখন কীভাবে সামাল দিবে আরিল্ড?

নিরবাচনের পরপর আরিল্ড-জানা,সা/ইন টিমের এ রাতারাতি পরিবরতন দেখে মন হয় - পারলে আরিল নিজেই লাঠি-সোঠা নিয়ে যুদ্ধাপরাধিদের পিটিয়ে আসবে ।নিরবাচনের হইচইয়ে আরিল্ড টুক করে ময়ুরপুচ্ছ ধারনের চেস্টা করলেও লাভ হবে না।যুদদধাপরাধিদের বিচারের দাবি ঠিক আছে,কিন্তু তার ব্যাবসায়ীক মনোভাব নিয়ে ব্লগের দরসশন পাল্টালে তার আরিল্ডের প্রশ্রয়ে বেড়ে উটা একঝাক জামাতি ব্লগার কেমন চাপ দেয় সা/ইনের উপর সেটা এখন দেখার বিষয়।

Tuesday 16 December 2008

বাংলা ব্লগ দিবসের ব্যর্থ নাটক, সাধারণ ব্লগারদের বিজয়

বিগত বছরগুলোর মতই ১৫ ডিসেম্বর সকাল পর্যন্ত কোনো বিশেষ ব্যানার ঝুলাতে না পারলেও ১৬ ডিসেম্বরকে বাংলা ব্লগ দিবস পালনের ঘোষণা দিয়েছিল সামহয়ারইনব্লগ।
'নোটিশবোর্ড' নিকের মাধ্যমে দেয়া তাদের এ ঘোষণা ছিল চরম মিথ্যা ও বিভ্রান্তিতে ভরপুর।
ঘোষণার ১ম প্যারা ছিল -

"১৬'ই ডিসেম্বর, আমাদের জাতীয় জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও আনন্দের দিন, বিজয়ের
দিন। এই বিশেষ আনন্দের দিনটিতেই আমরা সামহোয়্যার ইন... ব্লগিং জগতে মাতৃভাষা বাংলায়
ব্লগিংকে পরিচয় করিয়ে দেই, যা "বাঁধ ভাঙার আওয়াজ" নামে প্রতিষ্ঠা ও জনপ্রিয়তা পায়
।"
অথচ ২০০৫ সালের সা-ইন শুরুর আগে অনেক বাংলাদেশি ব্লগার ব্লগস্পটে বাংলায় ব্লগিং করতেন। এখনো করে যাচ্ছেন। হতে পারে সা-ইন বাংলা ব্লগিংকে জনপ্রিয় করেছে, একটা প্ল্যাটফর্ম করে দিয়েছে। কিন্তু , "ব্লগিং জগতে মাতৃভাষা বাংলায় ব্লগিংকে পরিচয় করিয়ে দেই" দাবীটি নির্জলা মিথ্যা।

বুমিং গ্রুপ বাংলা ব্লগারদের ১৬ ডিসেম্বরে ব্লগ দিবস পালনের যে টোপ ফেলা হয়েছিল, তাতে করে ১০ বছর পরে হয়তো বিজয় দিবস ম্লান করে ১ লাখ ব্লগার পালন করত ব্লগ দিবস। এ অপরিণামদর্শিতা অস্পষ্ট কিছু নয়।

অবশ্য ব্লগাররা এর প্রতিবাদ জানিয়েছে ঐ পোস্টেরই কমেন্টে-


ইয়র্কার বলেছেন: আমরা বিজয় দিবস এর আনন্দের পাশাপাশি এই দিনটিকে
"বাংলা ব্লগ দিবস" হিসেবে ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ------এই 'আমরা' কারা?
ব্লগারদেরকে এ বিষয়ে কিছু জিজ্ঞেস করা হয়েছে বলে মনে পড়ে না।ব্লগারদের মিলনমেলার
প্রতি আন্তরিক শুভকামনা।কিন্তু এরকম হঠকারিতামূলক ঘোষণা দেখে জামাতের 'মুক্তিযোদ্ধা
পরিষদ' গঠন ও খালেদা জিয়ার ১৫ই আগস্ট জন্মদিন পালনের কথা মনে পড়ে যায়।যে ব্লগ এত
ব্লগারের দাবির প্রেক্ষিতেও শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবসে একটি ব্যানার করতে পারেনা, তারা
ব্লগারদেরকে জিজ্ঞেস না করেই 'বাংলা ব্লগ দিবসের' ঘোষণা দেয়া স্ট্যান্টবাজির বাইরে
কিছু নয়।

রোবোকপ
বলেছেন: বিজয় দিবস উপলক্ষে একটা ব্যানার টাঙ্গাইতে পারে না, আর বিজয় দিবসকে
ধামাচাপা দিয়া ব্লগ দিবস করে। কত্তবড় বাটপারের মাথা থিকা এই বুদ্ধি বাইর হইতে পারে
চিন্তা করতাছি।

আরণ্যক যাযাবর বলেছেন: ভয়াবহ রকম হাস্যকর মনে হলো। হঠাত বহুবচনের
এই "আমরা" এসে হাজির হলাম, বাংলা ব্লগ দিবস নিয়ে। স্বঘোষিত এই আমরা কারা? তারা কয়
জন?এই তথাকথিত "আমরা" দের প্রতি অনুরোধ,বাংলা ব্লগ দিবস পালনের আগে বাঙালি মনন,
বাঙালি চেতনা, স্বাধীনতা, ১৬ই ডিসেম্বর, ১৯৭১ এইসবের সাথে সম্পৃক্ত হতে শিখুন।

আচার্য বলেছেন: ১৬ ডিসেম্বর শুধু মাত্র বিজয় দিবস! অন্য কোন দিবস যুক্ত করা যেতে পারে না। অন্য কোন দিন ব্লগ দিবস পালন করা যেতে পারে।।


জ্বিনের বাদশা বলেছেন: ১৬ ই ডিসেম্বরে বিজয় দিবস রয়ালির পাশাপাশি "বাংলা ব্লগ দিবস" শোভাযাত্রা করা হবে একটা হঠকারী ব্যাপার ...আমার মনে হয় এ দিনটাকে কোনভাবেই অন্য কোনকিছুর স্মারক করা উচিত হবেনা

খোমেনী ইহসান বলেছেন: সা.ই কর্তৃপক্ষ ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের দিনে বাংলা ব্লগ দিবস পালন করবার আয়োজন করেছে। শাদা চোখে বিষয়টা ভালোই লাগে। স্থির করে ঝুলানো পোস্টটাতে প্লাস আর তেল মারার ব্যাপার মুড়ি-মুড়কি হয়ে যাওয়ায় একটু আশঙ্কার কথা বলতে চাচ্ছি-বিশ্ব বেহায়া এরশাদ বন্দুকের জোরে ক্ষমতা দখলের পর দেশের তাবৎ বিপ্লবী ও গণতন্ত্রীদের মধ্যে একটা ইন্দুরও এর কোন প্রতিবাদ জানাইলো না। সর্ব প্রথম ১৯৮৩'র ১৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা রাজপথে প্রতিবাদ জানায়। তারা বেহায়া এরশাদের বিরুদ্ধে কথা বলে। স্বৈরাচারের শাসনকালের এই পয়লা প্রতিবাদে এরশাদ মহা রোষে প্রতিবাদরত ছাত্রদের সমাবেশে ট্রাক চালিয়ে দেয়। তাতে দিপালী সাহাসহ আরও কয়েক জন ছাত্র শহীদ হন। এই শহীদদের ছাত্র সমাজ দীর্ঘ সময় ধরে বেশ শ্রদ্ধার সাথেই স্মরণ করতো।কিন্তু ৯০ এ সাপ্তাহিক যায়যায়দিনের শফিক রেহমান ভালোবাসা দিবসের আয়োজন করেন ১৪ ফেব্রুয়ারি। এই ভালোবাসা দিবস বাংলাদেশে এখন এমন দিবসে পরিণত হয়েছে যা সারা দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে। এই দিবস পালনে ভালোবাসা বাড়ে না কমে জানিনা। তবে বেশ আলগা কিস এগাল ওগাল রাঙ্গিয়ে যায় নিশ্চিত। ফাঁক তালে বাণিজ্যও করে মিডিয়া, রুটি, বিস্কুট, ফুঁচকা, চাইনিজ খাদ্য অলারা আর হোটেল মালিকরা।মাঝখান থেকে হারিয়ে গেছে ১৪ ফেব্রুয়ারির শহীদ দিপালী সাহারা। একটি জাতির জীবনে ভালোবাসা কী কাজে আসে জানিনা, তবে শহীদদের ভুলে যাওয়াটা কতো দুঃখের ও শোকের তা বলগাইয়া বোঝানোর দরকার নাই।অথচ বাংলাদেশে ভালোবাসার জন্য একটা দিবস হিসেবে ১ লা ফাল্গুনকে নির্ধারণ করা যেতো। কিন্তু শফিক রেহমান একটা শহীদ দিবসকে ভালোবাসা দিবস করে স্বৈরাচার বিরোধী চেতনাকে খাঁটো করে ফেললেন। যার ফলাফল হিসেবে এখন বিশ্ববেহায়া এরশাদ এখন নতুন করে আমাদের সামনে উপস্থিত হয়ে গেলেন। কে না জানে এদেশের শাসকদের মধ্যে এরশাদই সবেচেয়ে বেশি ভালোবাসাবাসির সাথে জড়িত। তিনি কবরে যাওয়ার আগেও রমণ করেন, বাচ্চার বাবা হওয়ার দাবি করেন। তো শহীদ দিবসে ভালোবাসা দিবস পালন হলে তিনি নির্ভার হয়ে যেতে পারেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি ছাত্র হত্যার গ্লানি থেকে তিনি মুক্ত হয়ে যান।বিগত দুই বছরের মুখোশধারী স্বৈরশাসনের প্রথম বছরে অর্থাৎ ২০০৭ এর ১৪ ফেব্রুয়ারি আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্ররা 'শিক্ষা বাণিজ্যের' প্রতিবাদে কলা ভবনের সমস্ত বিভাগে ধর্মঘট পালনের মাধ্যমে ১৪ ফেব্রুয়ারির চেতনাটা ধরতে চেষ্টা করে সফল হয়েছি। কিন্তু পরের বছরেই ভালোবাসা দিবসের জোরটা আমাদের এক বছর আগের সাফল্যকে আন্দোলনকারীদের ভেতর থেকেই মুছে ফেলতে সক্ষম হয়।এখন কথা হচ্ছে, ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের সহ বিশ্বের সকল স্বাধীনতাকামী মানুষের জন্য অত্যন্ত মর্যাদার ও উল্লসিত হওয়ার দিন। এদিনটা শুধই বিজয়ের। এদিনে অন্য কিছুকে টেনে আনাটা শুভবুদ্ধির কাজ হতে পারে না।আমরা ভোগী জীবনের লীলা দেখছি বিশ্বময়, তাতে কিন্তু সব কিছু ভুলে যাওয়ার একটা ব্যাপার দাড়িয়ে গেছে। হয়তো বাংলাদেশেও এক সময় বিজয় দিবস ভুলে যাওয়া হবে। শুধু একটা বুলি আওড়ানোর দিবস হিসেবেই ১৬ ডিসেম্বর প্রতিবছর আমাদের মাঝে উপস্থিত হবে। যদি না আমরা এ দিবসটার মর্যাদা, অনন্যতা, অখন্ডতা ও কোন কিছুর সাথে জড়িয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আগে ভাগেই সাবধান হই।বাংলাদেশে ও প্রবাসে এখন অনেক লোক ব্লগিং এ জড়িত। তারা যদি এ দিন বিজয় দিবসের পাশাপাশি আরেকটা দিবস পালনে লিপ্ত হয়ে পড়ে তাহলে বিষয়টা ভালো হয় না। একটা অকাজ হয়। বিজয় দিবসকে বিয়ে পড়ানোর ব্যাপার হয়ে যায়।আমি মোটের উপর বলতে চাচ্ছি এ দিন বাংলা ব্লগ দিবস পালন না করা হোক। এ ব্যাপারে সা.ই. কর্তৃপক্ষকে বলবো আপনারা বাংলা ব্লগের চিন্তা নিশ্চয় অন্য কোন দিন থেকেই করেছেন। এ দিন শুভ বাংলা ব্লগিং ঘটিয়েছেন মূলত বিজয় দিবসের তাৎপর্য মাথায় রেখে। সুতরাং দিবসটা সরিয়ে অন্য কোন দিনে নিয়ে যান। ১৬ ডিসেম্বর আমরা শুধুই বিজয় দিবস পালন করতে চাই। অন্য কিছু না।এ ব্যাপারে আমি সহ ব্লগারদের সমর্থন আশা করছি।।

এস্কিমো বলেছেন: সামহোয়ার ইনের শুভ জন্মদিনের শুভেচ্ছা। সামহোয়ারের অগ্রযাত্রা ও সমৃদ্ধি কামনা করছি। কিন্তু খটকা লাগলো "বাংলা ব্লগ দিবস" পালনের ঘোষনা নিয়ে। পুরো বিষয়টা অবশ্যই ভাল। রেলি করে - চা খেয়ে যদি সচেতনতা বাড়ে ক্ষতি কি। শুধু আপত্তি থাকলো - বাংলাদেশের জন্যে বিরাট একটা দিবস সেই। আশা করা হয় ধর্ম বর্ণ এলাকা নির্বিশেষে একটা জাতি হিসাবে একটা দিন পালন করা হবে বিজয়ের আনন্দকে স্মরণ করে। (অবশ্যই রাজাকারগোস্ঠীর ভন্ডামী বাদে)। সেই দিনে আরেকটা দিবসের পরিকল্পনা করাটা ঠিক হয়নি। অনুরোধ থাকলো - দিনটি পুনর্বিবেচনা করুন। পরবর্তী সাপ্তাহিক ছুটির দিনকে বেছে নিতে পারেন। যেমন দেখা যায় - পশ্চিমে অনেক দিবস আর বন্ধ নির্বারিত হয় সাপ্তাহিক ছুটির পর দিন সোমবার হিসাবে - কোন নির্দিষ্ট তারিখকে ধরে না রেখে বলা যেতে পারে - ডিসেম্বরের ২য় বা ৩য় সাপ্তাহিক ছুটির দিনটি হবে ""বাংলা ব্লগ দিবস" ।মনে হয় এতে কারো আপত্তি থাকবে না। বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্যে সামহোয়ার ইনের কর্তৃপক্ষকে অগ্রীম ধন্যবাদ


আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: তৃতীয় বর্ষপূর্তিতে অভিনন্দন।বাংলা ব্লগিং-এর ক্ষেত্রে সা.ইন পথিকৃতের ভূমিকা পালন করেছে ও করছে। বাংলা ব্লগ দিবসও পালন করা যেতে পারে। যে কোনো উৎসবই আনন্দদায়ক। কিন্তু দিবসটি ১৬ ডিসেম্বরে পালন না করে অন্য কোনো দিনে পালন করার অনুরোধ করছি। বিজয় দিবসে আমরা এমনিতেই উৎসব করি, একইসঙ্গে যাবতীয় অনাচার ও প্রতিক্রিয়াশীলতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করি, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবি করি - অর্থাৎ নানারকম কর্মকাণ্ডে ও আয়োজনের মধ্যে আমাদের দিন কাটে। ওই দিনই ব্লগ-দিবসের র্র্যালিটিকে নিঃসন্দেহে দৃষ্টিকটু মনে হবে। ওইদিন বরং সা.ইন-এর পক্ষ থেকে বিজয় দিবস পালনের উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে এবং ডিসেম্বরের অন্য যে কোনো একটি দিনে ব্লগ-দিবসের উৎসব করা যেতে পারে।এখানে যেসব ব্লগার বিজয় দিবসে এই আয়োজনের বিরোধিতা করেছেন, আমি তাদের সঙ্গে সহমত পোষণ করি, এবং এ-ও মনে করি, এরা সবাই সা.ইন-এর মঙ্গলাকাঙ্ক্ষী।আশা করছি, সিদ্ধান্তটি আপনারা পূণর্বিবেচনা করবেন।তৃতীয় বর্ষপূর্তিতে আবারও অভিননন্দন রইলো ব্লগ সংশ্লিষ্ট সবাইকে।

রন্টি চৌধুরী বলেছেন: আইডিয়াটা ভাল, দিনটা ভাল না।১৬ ডিসেম্বরে বিজয় দিবস। এটা আমাদের কাছে ঈদের মত।আপনি যদি ঈদের দিনে আর কোন একটি দিবস খাড়া করেন তাহলে ভাল লাগবে? ১৬ ডিসেম্বর সকালে বাংলা ব্লগ দিবস শোভাযাত্রা, হাংকি পাংকি...শুনতেই আমার কাছে নির্লজ্জ নির্লজ্জ লেগেছে। একদিন পরেএ দিবসটি পালন করলে হয় না? ১৬ ডিসেম্বর মাঠে যাব, বিজয় উল্লাসে অংশ নিব, বিজয় শোভাযাত্রা করব, পেট পুড়ে স্বাধীন বাতাস খাব, হাসব, কাদব। এদিন আমরা একটি শোভাযাত্রা করে যদি ব্লগ দিবস পালন করি এরচেয়ে নির্মম আর কি হতে পারে?ব্লগ কতৃপক্ষের দিবস পালনের ব্যাপারটিতে তো আপত্তি নেই।কিন্তু তারা ভুল দিন বেছে নিয়েছেন। বিতর্ক নিয়ে তো এ ধরনের দিবস পালন করা যায় না। এ উদ্দ্যোগও তাই সফল হবে না। যেহেতু ব্লগারদের বিশাল একটি অংশ আপত্তি জানাচ্ছেন, তাই উচিত হবে দিনটি পরিবর্তন করা। দিবস পালনে তো কেউ বাধা দিচ্ছে না। সবার আপত্তি বিজয় দিবসের দিনে ব্লগ দিবস পালনে।ধন্যবাদ।

ইরতেজা বলেছেন: আমরা বিজয় দিবস এর আনন্দের পাশাপাশি এই দিনটিকে "বাংলা ব্লগ দিবস" হিসেবে ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।------------------তীব্র প্রতিবাদ জানাই সামহোয়ারইনের এই ধৃষ্টতা। ১৬ই ডিসেম্বর এই দিনটি আমাদের মহান বিজয় দিবস হিসেবে শুধু দেখতে চাই। এই দিনে অন্য কোন দিবস পালনের ঘোর বিরোধিতা করছি। বছরে ২১শে ফেব্রুয়ারি, ২৬শে মার্চ এবং ১৬ই ডিসেম্বর ছাড়াও আরো ৩৬২ দিন আছে। সেই ৩৬২ দিনের কোন এক দিন "বাংলা ব্লগ দিবস" পালন করুন।সাধারণ ব্লগারদের সহিত কোনরুপ আলোচনা না করে কর্তৃপক্ষ নিজেরা নিজেদের ইচ্ছেমত "বাংলা ব্লগ দিবস" ঘোষণা দেওয়া এবং মহান বিজয় দিবসে শহীদের প্রতি কোনরুপ শ্রদ্ধা না দেখিয়ে ১৬ই ডিসেম্বর "বাংলা ব্লগ দিবস" পালন করার ঘোষনার পোষ্টকে কষে মাইনাস দিলাম। এই হাস্যকর প্রস্তাবের বিরোধিতা করা হল।

তপন বাগচী বলেছেন: বিজয় দিবসে আমাদের সকল আনন্দ প্রকাশ করতে চাই। কিন্তু সেটি বিজয় দিবস হিসেবেই থাকবে। তাকে ব্লগ দিবস হিসেবে পউদযাপনের অর্থই হলো বিজয় দিবসকে পাশ কাটিয়ে যাওয়া। পারলে আসুন সা.ই.-এর মাধ্যমে বিজয় দিবসকেই পালন করি। ব্লগদিবসকে বেছে নিন, সা.ই.-এর প্রথম সভার দিন বা অন্য কোনটাকে।এরকম চললে, পরাজিত শত্ররুরা এই দিনটাকে তাদের নিজনিজ প্রয়োজনে নানা '‌দিবস' বানিয়ে ফেলবে। আর তারা রেফারেন্স দেকে ব্লগ দিবসের। এই দিনটাকে অন্য কেউ নিজের দিবস হিসেবে ঘোষণা দিতে সাহস পায়নি, এমনকি খালেদা জিয়াও নয়, সা.ই. কেন সেই ঝুঁক নেবে। খালেদা জিয়া তাঁর তিনটি জন্মদিবস বানিয়েছেন, শেষতক জাতীয় শোক দিবসকে বেছে নিয়েছেন, কিন্তু বিজয় দিবসকে নয়। আশা কবর, ১৬ই ডিসেম্বর কেবলই কবজয় দিবস। অন্য কিছু নয়। ভাভাবির কোনো বিষয় নয়, কর্মসূচি পরিবর্তন করবেন এটাই প্রত্যাশা।

আইরিন সুলতানা বলেছেন: কর্তৃপক্ষের উচিৎ ব্লগারদের বক্তব্যগুলোর জবাব দেয়া । কারণ এখানে কিছু প্রশ্ন, কিছু জিজ্ঞাসা আছে ...চুপ করে থাকলে তা কেবল বিতর্ক এবং ক্ষোভেরই জন্ম দিবে । বিশ্ব ব্লগ দিবসের পাশাপাশি যদি বাংলা ব্লগ দিবস বলেও একটা আলাদা দিবস পালন করা হয়, তাতে বাংলা ব্লগিং এরই বিশেষ প্রচার হবেকিছু প্রশ্ন বার বারই আসছে -১. ব্লগিং দিবসের সিদ্ধান্ত নেয়া এই "আমরা" কমিটির সদস্যবৃন্দ কারা ছিলেন ? এটি নিছক কৌতুহল নিবৃত করার মানসিকতা থেকেও জানানো যেতে পারে ...২. হুট করে এরকম একটা ঘোষণা হয়ত চমক দেয়ার জন্য করা হয়েছে, কিন্তু তাতে হিতে বিপরীত হলো; এই ঘোষনাটি একটি জরিপ হিসেবে কি আগে নোটিশ বোর্ডে দেয়া যেত না ? তাতে আমাদের সবার ভিন্ন ভিন্ন মত হলেও অন্তত এটুকু ভাবা যেত যে, সবার অংশগ্রহণ ছিল ...৩. কর্তৃপক্ষের নি:সন্দেহে ১৬ই ডিসেম্বরকে অবমূল্যায়ন করার ভাবনা ছিলনা বলেই ধরে নিচ্ছি, বরং তাদের আত্মপ্রকাশের দিনে নিজেদেরকে বাংলা ব্লগিং জগতে পথিকৃৎ ঘোষণা করার চেষ্টাই ছিল । তাছাড়া ১৬ই ডিসেম্বর মানুষ-জন মনে কোন শোক জমা রেখেও এক বিজয় উৎসবে মাতে । সেই সুযোগে হয়ত, আরেকটা দিবসও পালন করে নেয়া যেত ....কিন্তু যদি বাংলা ব্লগ দিবস বলে একটি বিশেষ দিবসকে সত:স্ফূর্তভাবে বিখ্যাত করার চেষ্টা থাকে তাহলে ১৬ই ডিসেম্বরে এই দিবস পালন করতে গিয়ে জনগন দুটি দিবসের মধ্যে priority খুঁজবে..নি:সন্দেহে ১৬ই ডিসেম্বর সকল কিছুর উর্ধ্বে...সেক্ষেত্রে দিবস পালনের জন্য এই দিনকে বেছে নেয়ার সিদ্ধান্ত বোকামী। কর্তৃপক্ষ কি ব্লগারদের মতামত গুলোকে প্রাধান্য দেবেন ?৫. একটা উদাহরণ দেয়া যাক; ধরুন, আমি কালকে বাংলা ব্লগিং দিবসের ব্যানার হাতে নিয়ে rally করছি...এক শিশু যে হয়থ বিজয় দিবসের উচ্ছলতা দেখতে বার হয়েছে তার বা-মা কিনবা বড় ভাই-বোনের সাথে, সে তখন প্রশ্ন করবে, ব্লগ দিবস কি ? তাকে বলা হবে, ১৬ই ডিসেম্বর ব্লগ দিবস...ওদিকে শিশুটি কিন্তু প্রথমে জানতো ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস...এখন শিশুটি কি দ্বিধায় পড়ে যাবে না ? তখন সে হয়ত, ব্লগ/বাংলা ব্লগ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে উঠবে; তার প্রশ্নগুলো সেই রকমই হবে; বিজয়ের মিছিলের আশেপাশে থেকেও বিজয় দিবস সংক্রান্ত প্রশ্নগুলো চাপা পড়ে যাবে তার মধ্যে ... ব্লগ নিয়ে উন্মাদনা হোক, তাতে সমস্যা নেই; বাংলা ব্লগিং অবশ্যই বাংলা ভাষার চর্চাকে সম্মৃদ্ধ করেছে; কিন্তু তা যদি আমাদের চেতনার সাথে জড়িত স্মৃতিকে পেছনে ফেলে দেয়, তা কি ঠিক হবে ?৪. কেউ মনে হয় না আদতে বাংলা ব্লগিং দিবস পালনের বিরোধিতা করবেন, তবে সবার ক্ষোভগুলো ঝরে পড়ছে শুধুমাত্র ১৬ই ডিসেম্বরকে বাংলা ব্লগিং দিবস হিসেবে ঘোষণা করার জন্য। কর্তৃপক্ষ কি তা বুঝতে পারছেন ?কর্তৃপক্ষ সবার মতামতগুলো পড়ে দেখছেন আশা করি ।


এই ছিল ব্লগারদের তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া। আলাদা পোস্ট দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অনেকে। উল্লেখযোগ্য ছিল -

আরিফ জেবতিক,-এর চেতনা এতো ঠুনকো নয় যে দ্রুতই নাড়া খাবে....তবু ....রাগ ইমন-এর বিজয় দিবস , ব্লগ দিবস এবং কোলা ব্যাং এর গল্প
জামাল ভাস্কর-এর ব্লগ দিবস পালনের ঘোষণা একটা বালখিল্য প্রয়াস...
রাজর্ষী-এর বিজয় দিবসে ব্লগ দিবস বিতর্ক
রোবোকপ-এর আসেন পয়লা ফেব্রুয়ারি বাংলা ব্লগ দিবস উদযাপন করি
রোবোকপ-এর বিজয় দিবসে সামহয়ার ইন এর অফিস থেকে বিজয় দিবসের মিছিল দেখতে চাইআকাশ সুনীল-এর বিজয়ের দিনেই তো ভাল কাজ করা উচিত, তাই এই দিনেই বাংলা ব্লগ দিবস উদযাপিত হওয়া উচিত
ফিউশন ফাইভ,-এর বিজয়ের আনন্দে বাংলা ব্লগ দিবস পালন যে কারণে সমর্থন করি
আরণ্যক যাযাবর-এর বিজয় দিবসের অবমাননা :: প্রতিবাদ না করলে আমাদের দায়িত্বশীলেরা কথা বোঝেন না কেনো?
সু-শান্ত-এর দয়া করে ১৬ ডিসেম্বর কে অন্য কোন দিবস দিয়ে ভারযুক্ত করবেন না
ইয়র্কার-এর বাংলা ব্লগ দিবস; কিন্তু ১৬ই ডিসেম্বর কেন?
জহির আহমেদ-এর বাংলা ব্লগ দিবস ২০১০ (দৈনিক সংগ্রাম প্রতিবেদন)

এরমাঝে জামাল ভাস্কর ও আরিফ জেবতিক বেশ ঘোলাটে মন্তব্য সমৃদ্ধ পোস্ট দিয়েছেন। ব্লগারদের মনে থাকতে পারে - ২০০৭ এর সা-ইনের বর্ষপুর্তির পানীয়-সন্ধ্যায় আরিফ জেবতিক ও জামাল ভাস্করের উপস্থিতি ছিল দেখার মত। বাকীদের মাঝে মাহবুব মোর্শেদ এখন প্র-আলোব্লগের কর্নধার, ব্রা-রাইসু কবিসভার জন্য আলাদা সাইট চালু করেছেন এবং সা-ইনে ১৫ জানু ২০০৯ এর মধ্যে চলে যাওয়ার একটি নাটকও জমিয়েছেন। সা-ইনের আরেক ক্লোজ ব্লগার কালপুরুষ ইদাইং প্রোস্টেট সমস্যায় আক্রান্ত।

ব্লগ-বাজারে শোনা যাচ্ছে ১৬ ডিসেম্বরকে বাংলা ব্লগ দিবস ঘোষনার মূল ২ থিংকট্যাঙ্ক ছি্ল ব্লগার কৌশিক ও একরামুল হক শামীম। সা-ইনে যখন এ বিষয়ে ব্লগারদের তুমুল নিন্দায় জর্জরিত,তখন এ দুজন ছিল নীরব- অদৃশ্য। নতুন রেসিডেন্ট ভাঁড় লোকলটক/ফিউশন ফাইভ ছিল চরম নির্লজ্জ দালালিতে মশগুল।

শেষ পর্যন্ত ৭৬টি প্লাসে বিপরীতে ১৩৫টি মাইনাছ রেটিং পেয়ে সা-ইন কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে। কৌশলে নূতন পোস্ট দিয়ে ব্লগ দিবস উহ্য রেখে বিজয় দিবস পালনের ঘোষনা দেয়। আশ্চর্যজনকভাবে নতুন সেই পোস্টে প্লাসের বাড়াবাড়ি ছিল চোখে পড়ার মত। মাত্র কয়েক ঘন্টায় ৫০টির বেশি প্লাস রেটিং পড়ে পোস্টে। কিন্তু তখন মধ্যরাতে লগড-ইন ব্লগার ছিল জনা তিরিশেক। সা-ইন কর্তৃপক্ষ তাদের জেদ দেখালো রেটিং ম্যানিপুলেশন করে।

নতুন লেভেলে পুরনো মদ দেখানোর মত করে সা-ইনের ব্যানারে ১৬ ডিসেম্বর পালিত হয়েছে।
সা-ইনের অদূরদর্শিতার নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে দুইদিনে।
কর্তৃপক্ষ কী শিখলো না শিখলো তার চেয়েও বড়ো কথা - ইনহাউজ মৌ-লোভী ভাঁড় ব্লগারদের ডেকে গোপনে নেয়া সিদ্ধান্ত গণ-ব্লগারদের উপরে চাপানো যায়নি, এটা প্রমাণিত হয়েছে।

বাঙালির অস্থিমজ্জায় এমন চাপিয়ে দেয়া সিদ্ধান্ত মেনে নেয়ার অতীত ইতিহাস নেই। ব্রিটিশ বেনিয়া, পাকি শাসক হেরে গেছে কবে, কতো আগে!

নরওয়ের কর্পোরেট বণিক চক্র এটা যতো দ্রুত বুঝবে ততই তাদের মঙ্গল।

Thursday 30 October 2008

ভার্চুয়াল নিকের মালিকানা ছিনতাই অথবা সু-মা জুটির কুটকৌশল

প্রথম আলো ব্লগ চালু হোয়ার সঙে সঙে আগ্রহি ব্লগাররা যতটা না হামলে পড়েছে,তারচেয়ে বেশি হতাশ ও বিরক্ত হয়েছে নানান বিতর্কে । প্র-আ-ব্লগ ওপেন হোয়ার প্রথম দিনেই দেখা যায় সামহয়ারইনের বেশ কিছু পরিচিত নিক নিয়ে একাউন্ট খোলা হয়ে গেছে । মুকুল-নুশেরা-নরাধম-কালপুরুষ-চিকনমিয়ার মত কিছু চলতি জনপ্রিয় নিক হ্যাক হলেও বিশেষ করে সা-ইনের কর্নধার আরিল-জানার নিক নিয়ে হইচই পড়ে । একপর্যায়ে সা-ইনে আরিল পোস্ট দিয়ে বলে – “
this is the right time for the authorities to sit together and collaborate to
protect the identities of all bangla bloggers, if all parties are willing.”
বোঝা যায় – নিঃসন্দেহে আরিল তার ভার্চুয়াল সত্বার অস্তিত্ব নিয়ে চিন্তিত ।

খানিক পরে আরিলের এ চিন্তার উনুনে কয়েক গ্লাস ঘি ঢালা মন্তব্য করেন ‘সচলায়তন’ ব্লগের কর্নধার অরুপ। তিনি বলেনঃ
সচলায়তন প্রতিষ্ঠার পরে সামহয়ারইনব্লগে "সচলায়তন" নামে একটি নিক খুলে বিভ্রান্তি
ছড়ানো হয়। আরিলকে অনুরোধ করেছিল এসএম মাহবুব মোর্শেদ নিকটি বন্ধ করতে। আরিল সম্মত
হননি। তার নিজস্ব ব্যাখ্যা ছিল... কিন্তু উদ্দ্যেশ্য যেখানে স্পষ্ট সেখানে সহযোগিতা
না করাটা ছিল হতাশাব্যঞ্জক... পুনশ্চ: নোটিশবোর্ড সেদিন দাবী করেছেন যে নিকটি ব্যান
করা হয়েছিল, আরিফ জেবতিকের সাম্প্রতিক লেখায় পড়লাম ব্যান করা হয় নিক তৈরির ১৯ দিন
পরে এবং তা অবশ্যই সচলায়তনকে ডিফেম করার জন্য নয়..

অরুপের এ কমেন্টের আজ ৪দিন পার হলেও আরিল কোনো জবাব দেন নি । অবশ্য এর আগেই আরিফ জেবতিকের এক পোস্টে ‘সচলায়তন’ নিক সৃষ্টি,কর্তৃপক্কের পক্ষ থেকে প্রশ্রয় এবং অনেক পরে মডারেশনের ঘটনা পরিষ্কার হয় মন্তব্যের ঘরে । সা-ইনের কর্তৃপক্ষ নিক নোটিশ বোর্ড এসে মিথ্যা সাফাই গাইলে তথ্য প্রমানসহ আরিফ জেবতিক জানান –

@নোটিশ বোর্ড :সচলায়তন নিকটি চালু হয়েছে : ০২ রা জুলাই, ২০০৭ সকাল ৮:৪৪ আর শেষ
পোস্ট দিয়েছেন ঐ নিকধারী : ২১ শে জুলাই, ২০০৭ রাত ১:১৬ মাঝখানে ব্যবধান হচ্ছে ১৯
দিন । আর ঐ নিককে ব্যান করা হয়েছে সম্ভবত: তার ইতিহাস সংক্রান্ত মিথ্যা তথ্য
পরিবেশনের দায়ে । কোনভাবেই অন্য সাইটের নামের সাথে তার নামের মিলের জন্য নয় । অথচ আপনার কমেন্টটি এখানে বিভ্রান্তি তৈরী করছে । ভবিষ্যতে এ ধরনের কোন কমেন্টের
কারনে যদি আমার মনে হয় যে আপনি আমার ব্লগে বিভ্রান্তি তৈরী করছেন , তাহলে আপনাদের
"নোটিশ বোর্ড " নিকটি ব্লক করে দেয়া হবে ।
ডান্ডাবাজ নোটিশ বোর্ডকে কমেন্ট ব্লক করার এমন স্পষ্ট হুমকি সা-ইনে সম্ভবত এটাই প্রথম । ঐ পোষ্টে সা-ইনের মডারেটর বলে পরিচিত আরিল-জানা-দেবরা বা তাদের নোটিশ বোড নিকটিকে আর কমেন্ট করতে দেখা যায়নি ।তবে এরপর কথা বাড়িয়েছেন ব্লগার আছহাবুল ইয়ামিন, যাকে ব্লগস্ফিয়ারের কেউ কেউ সা-ইনের অঘোষিত মডারেটর বলে মনে করেন ।

যতই পারষ্পরিক বোঝাপড়ার কথা বলা হোক না কেন, আরিলের নৈতিক পরাজয় এবার সুস্পষ্ট হয়ে উঠলো । মনে হলো, সচলায়তন নিক নিয়ে ইভিল পারপাস সার্ভ করার যে চর্চাকে প্রশ্রয় আরিল দিয়েছিলেন ঠিক একই চর্চায় ফেঁসে গেলেন আরিল নিজে ।

প্র-আ-ব্লগের পক্ষ থেকে সা-ইনে সাফাই পোষ্ট দিয়েছেন কবি-গবেষক-গল্পকার-ইদানিংব্লগার সুমন রহমান। তিনি নৈতিকতার অবস্থানে প্রতিবাদ জানানোর কথা বললেও অনেকটা সুশীল কায়দায় জানান এ ব্যাপারে আইনী কিছু করার নেই । বটম লাইনে “বিষয়টা পরিষ্কার থাকা ভাল” বলে তিনি এক রকম সিদ্দান্তও টেনেছেন । ইদানিংব্লগার সুমন রহমান প্র-আ-ব্লগের উপদেষ্টা হচ্ছেন এমন খবর ব্লগস্ফিয়ারে ভেসেছে আরো আগে। প্র-আ-ব্লগে সুমন রহমানের পোস্ট পড়লে বেশ কর্ত্রপক্ষ সুলভ ভাষা পাওয়া যায় ।

এক সময় সা-ইন কর্তৃপক্ষের তোষামেদকারি মাহবুব মোর্শেদ এখন প্র-আ-ব্লগের মুল মডারেটর । নিক হ্যাকের পাশাপাশি ১ম দিন থেকেই কড়া মড়ারেশনে নেমেছে মাহবুব মোর্শেদ । কমেন্ট ব্লক,নিক ব্যান এবং তার ব্যাখ্যা নিয়ে পোস্টাচ্ছে নিয়মিত।গালির ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষনা করলেও, রাজাকারকে কুত্তার বাচ্চা বলতে সমস্যা কোথায়, এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি মাহবুব মোর্শেদ বা সুমন রহমান ।

সুমন-মাহবুব (সু-মা) জুটি প্র-আ-ব্লগএর ডান্ডাময়নীতিমালাকে কতোটা ব্লগারমুখী করতে পারবেন, নাকি পারবেন না সেটাই এখন দেখার বিষয় । তার আগে আরেকটি অভিযোগের উত্তর দিতে হবে সু-মা জুটিকে; অভিযোগটি গুরুতর এবং বাংলা কমুনিটি ব্লগের ভবিষ্যতের জন্য জানার দরকার । অভিযোগ উঠেছে, জনপ্রিয় নিক গুলো ছিনতাইয়ের পেছনে মূল হোতা সু-মা জুটি এবং তাদের টেকনিক্যাল টিম । উদ্দেশ্য পরিস্কার, যাতে করে ঐসব নিকের মালিক গিয়ে প্র-আ-ব্লগে প্রতিবাদ করে, নিজের নিক ফেরত নেয় এবং এই আতংকে প্রতিষ্ঠিত অন্য সব ব্লগার গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে এবং প্র-আ-ব্লগের ব্লগার হয়ে উঠে ।


এটি যদি সত্যি হয় তবে সু-মা জুটিকেও একদিন আরিলের মতো নিক অস্তিত্ব রক্ষার আহবান জানাতে হবে । ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি সুমন রহমান না জানলেও তার বোসম-ব্লগার মাহবুব মোর্শেদ জানার কথা , যদি তিনি তার বিগত-গুরু শফিক রেহমানের পরিণতি বিন্দুমাত্রও মনে রাখেন ।

Friday 24 October 2008

প্রথম আলো ব্লগ

বাংলা ব্লগে আজ প্রচন্ড উত্তেজনা লক্ষ করা গেছে। নতুন ব্লগ নিয়ে এসেছে দৈনিক প্রথম আলো, যার নাম প্রথম আলো ব্লগ। প্রথম আলো ব্লগকে স্বাগত জানিয়ে যেমন বিভিন্ন ব্লগ প্লাটফর্মে লেখা এসেছে, তেমনি একে আগাম তিরস্কার করেও এসেছে প্রচুর লেখা।

ব্লগারদের লেখা পড়ে যা মনে হলো, তারা দুটি বিষয়ে অসন্তুষ্ট।
এক. প্রথম আলোর সুদীর্ঘ কঠোর ব্যবহার ও আচরণ বিধিমালা।

দুই. সদস্য হবার জন্যে একটি আমন্ত্রণব্যবস্থা।

প্রথম আলোর বিধিমালা নিচে উদ্ধৃত করা হলো।


১.

ক) বাংলাদেশে প্রচলিত আইন লঙ্ঘন করে কোনো লেখা প্রকাশ করা যাবে না।

খ) কোনো লেখার মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে প্রচলিত আইন-কানুন লঙ্ঘন করা যাবে না।

২.

ক) দেশীয় বা দেশের বাইরের কোনো জাতি, গোষ্ঠী, ভাষা ও ধর্মের প্রতি অবমাননামূলক বা কারো অনুভূতিতে আঘাত দিতে পারে এমন কোনো লেখা প্রকাশ করা যাবে না।

খ) বিবদমান দুই বা ততোধিক জাতি, গোষ্ঠী ও ধর্মের মধ্যে জাতিগত সংঘর্ষের উস্কানি দিতে পারে এমন লেখা প্রকাশ করা যাবে না।

গ) ক্ষুদ্র জাতিসত্তা বা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্ম, সংস্কৃতি, আচার, জীবনযাত্রা, খাদ্যাভ্যাস বা ভাষাকে কটাক্ষ বা অবমাননা করে কোনো বক্তব্য দেওয়া যাবে না।

ঘ) প্রচলিত ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধ অনুসারে শ্রদ্ধেয় কোনো ব্যক্তিকে হেয় করে কোনো মন্তব্য করা যাবে না।

ঙ) কোনো জাতি, জনজাতি, গোষ্ঠী, জাতি-উৎস, লিঙ্গপরিচয়, বয়স, শ্রেণীপরিচয়, শারীরিক ও মানসিক অক্ষমতা নিয়ে ঘৃণা বা অবমাননামূলক কোনো মন্তব্য প্রকাশ করা যাবে না।

চ) ধর্মগ্রন্থের বাণী ত্রুটিপূর্ণভাবে উদ্ধৃত করা যাবে না। এমনভাবে ধর্মগ্রন্থের বাণী উদ্ধৃত করা যাবে না, যাতে ধর্ম বা বাণীর অসম্মান হয়।

৩.

ক) নারীর প্রতি অবমাননা, আক্রমণ ও নিপীড়নমূলক কোনো লেখা প্রকাশ করা যাবে না।

খ) অশ্লীল ও অশালীন ইঙ্গিতপূর্ণ এমন কোনো শব্দ, বাক্য, ছবি, ভিডিও ও অডিও ব্যবহার করা যাবে না, যা নারীকে হেয় করতে পারে।

গ) নারী ব্লগারদের সঙ্গে কটাক্ষমূলক আচরণ করা যাবে না।

ঘ) ব্লগে পোস্ট দিয়ে কোনো নারী বা পুরুষকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রেম নিবেদন করা যাবে না। ব্যক্তিগত চিঠি দেয়া যাবে না।

৪.

ক) কোনো পর্নোগ্রাফিক ছবি, লেখা, তথ্য বা ভিডিও প্রকাশ করা যাবে না। কোনো পর্নোগ্রাফিক সাইটের লিংক দেওয়া যাবে না।

খ) এমন কোনো লেখা প্রকাশ করা যাবে না যা সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে অশ্লীল বা অশালীন বলে বিবেচিত হতে পারে।

গ) অশালীন ইঙ্গিতপূর্ণ কোনো শব্দ, শব্দবন্ধ বা বাক্য ব্যবহার করা যাবে না।ঘ) স্নায়বিক চাপ তৈরি করতে পারে এমন কোনো বীভৎস, ভয়ংকর, অরুচিকর ছবি প্রকাশ করা যাবে না।

ঙ) কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশে কোনো ব্যক্তির অনুমতি ছাড়া/গোপনে তোলা কোনো ছবি প্রকাশ করা যাবে না।

চ) বিকৃত করে, জোড়া লাগিয়ে পরিপ্রেক্ষিত পরিবর্তন করে কোনো ছবি প্রকাশ করা যাবে না।

৫.

ক) কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করতে অবমাননামূলকভাবে কোনো প্রাণীবাচক নাম দেয়া যাবে না।

খ) সহব্লগারদের কিংবা ব্লগের বাইরের কাউকে গালিগালাজ করা যাবে না।

গ) কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা যাবে না।

ঘ) এমন কোনো নাম বা ছদ্মনাম (ইউজার নেম বা নিক) ব্যবহার করা যাবে না যা অন্য ব্লগারের নামকে হেয় করে, সামাজিকভাবে কোনো প্রচলিত নামকে হেয় করে কিংবা সামাজিক-সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে অশালীন মনে হয়।

ঙ) হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য কারো ব্যক্তিগত তথ্য ব্লগে প্রকাশ করা যাবে না।

চ) অন্য কারো জাতীয় পরিচয়পত্র, ক্রেডিট কার্ড, পাসপোর্ট নম্বর প্রকাশ করা যাবে না।

ছ) অনুমতি ছাড়া কোনো ব্যক্তির ঠিকানা বা ফোন-ফ্যাক্স নম্বর ইত্যাদি প্রকাশ করা যাবে না।

জ) ব্যক্তিগত পরিচয়ের সূত্র ধরে কারো ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্যের দুর্বল দিক ব্লগে প্রকাশ করা যাবে না।

ঝ) কাউকে হত্যা, আঘাত বা আক্রমণের হুমকি দেয়া যাবে না। কোনো পরিস্থিতিতেই কাউকে ভয় দেখানো যাবে না।

ঞ) ব্লগে বা ব্লগের বাইরে অস্থিতিশীলতা তৈরির উদ্দেশ্যে সংগঠিত হওয়া বা সংগঠিত হওয়ার প্রচারণা চালানো যাবে না।

৬.

ক) বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে অবমাননা ও কটাক্ষমূলক কোনো লেখা প্রকাশ করা যাবে না।

খ) সমাজে বিতর্ক আছে এমন বিষয়ে মন্তব্য ও লেখা প্রকাশ করতে হলে উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে তা করতে হবে।

গ) রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দাঙ্গা-পরিস্থিতির বা রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণ হতে পারে এমন লেখা প্রকাশ করা যাবে না।

ঘ) রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি ব্যক্তিগত বিদ্বেষ প্রচার করা যাবে না।

ঙ) সমাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে এমন কোনো তথ্য প্রকাশ করা যাবে না।

চ) প্রচলিত আইনে অপরাধ বলে গণ্য হয় এমন কোনো কাজের সমর্থনে প্রচারণা চালানো যাবে না।

৭.

ক) কোনো ভাইরাস, স্পাইওয়্যার বা ম্যালওয়ারের লিংক দেয়া যাবে না। হ্যাকিং এবং ক্র্যাকিং করার কোনো সূত্র বা এ সম্পর্কিত কোনো সফটওয়ারের লিঙ্ক ব্লগে প্রকাশ করা যাবে না। হ্যাকিং বা ক্র্যাকিংয়ে উৎসাহ দিয়ে কোনো লেখা প্রকাশ করা যাবে না।

খ) কোনো রাজনৈতিক সংগঠন বা ট্রেড ইউনিয়নের নামে ব্লগ খোলা যাবে না। কোনো সামাজিক বা সাংস্কৃতিক সংগঠনের নামে ব্লগ খুলতে হলে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ব্লগ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে নিবন্ধনকারীর ন্যায্যতা প্রমাণ করতে হবে।

গ) কোনো ব্র্যান্ডের সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে নেতিবাচক লেখা দেওয়া যাবে না।

ঘ) ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপন, আলোচনা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পর্কিত কোনো বিজ্ঞপ্তি বাদে বাণিজ্যিক উদ্দেশে বিজ্ঞাপন প্রচারের আগে অবশ্যই ব্লগ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।

ঙ) ধূমপান, মাদক ও নেশাকে উৎসাহিত করে কোনো বিজ্ঞাপনমূলক লেখা, ছবি, ভিডিও বা অডিও প্রকাশ করা যাবে না।

৮.

ক) একই ব্লগার জরুরি প্রয়োজন ছাড়া প্রথম পাতায় একটির বেশি পোস্ট করতে পারবেন না। এক সঙ্গে একটির বেশি লেখা দিলে প্রয়োজনে অতিরিক্ত লেখা প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে দেয়া হতে পারে।

খ) একই বিষয়ে একাধিক পোস্ট দেয়া হলে এবং সেগুলোয় বিষয়বৈচিত্র্য না থাকলে একটি রেখে বাকিগুলোকে প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে দেয়া হতে পারে।

গ) কোনো খবর দিতে হলে প্রাথমিক উৎস থেকে তথ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে এবং তথ্যের সঙ্গে সে উৎস উল্লেখ করতে হবে। প্রকাশিত খবর মিথ্যা হলে ব্লগারকে বাতিল করা হবে।

ঘ) কারও বিরুদ্ধে একাধিক নাম বা ছদ্মনাম (ইউজার নেম বা নিক) ব্যবহার করে ব্লগে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার প্রমাণ পাওয়া গেলে তার সকল ছদ্মনাম বাতিল করা হবে।

ঙ) হ্যাকিং বা প্রতারণার ঘটনা ঘটলে এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চ) অন্য কোথাও থেকে সরাসরি কোনো লেখা বা লেখার অংশবিশেষ উদ্ধৃতি, রেফারেন্স, আলোচনা, সমালোচনা ইত্যাদি প্রয়োজনে ব্লগে প্রকাশ করতে হলে লেখার উৎস ও লেখকের নাম উল্লেখ করতে হবে। স্বত্ত্ব সংরক্ষিত লেখার ক্ষেত্রে ব্লগে প্রকাশের আগেই প্রয়োজনীয় অনুমতি নিতে হবে।

৯.

ক) প্রথম আলো কর্তৃপক্ষ যে কোনো সময় 'নীতিমালা ও ব্যবহারবিধি' পরিবর্তনের অধিকার রাখে।লেখার দায় ও স্বত্ব১. ব্লগে একটি নাম (ইউজার নেম) ও সংকেতমালা (পাসওয়ার্ড) ব্যবহার করে লেখা সকল লেখায় দায় সংশ্লিষ্ট ব্লগারের ওপর বর্তাবে। নাম ও সংকেতমালা সংরক্ষণ করার দায়িত্ব ব্লগারের। প্রকাশিত লেখার মত ও তথ্য ব্লগারের ব্যক্তিগত মত ও তথ্য হিসেবে বিবেচিত হবে।

২. ব্লগে প্রকাশিত ছবি, তথ্য ও লেখার স্বত্ব ব্লগারের বলে গণ্য হবে। কপিরাইট আইন ভঙ্গ করে কোনো ছবি, তথ্য ও লেখা প্রকাশ করা যাবে না। প্রথম আলো কর্তৃপক্ষ ব্লগে প্রকাশিত লেখার স্বত্ব দাবি করে না। তবে ব্লগে প্রকাশিত পোস্ট প্রয়োজনে প্রথম আলোর অন্য কোনো সংস্করণ বা মাধ্যমে ব্লগারের অনুমতি সাপেক্ষে প্রকাশ করা হতে পারে। এক্ষেত্রে অন্য কোনো পত্রিকায় প্রকাশের জন্য লেখাটি জমা দেয়া যাবে না। ব্লগার প্রথম আলোর নিয়ম অনুসারে লেখার সম্মানী পাবেন।

৩. ব্লগে প্রকাশিত পোস্ট ও মন্তব্যে রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক কোনো আইন লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে তার দায় ব্লগারকে ব্যক্তিগতভাবে বহন করতে হবে। আইন লঙ্ঘনের পরবর্তী দায়দায়িত্বও তার ওপরই বর্তাবে।

৪. কোনো পোস্ট দেশীয় বা আন্তর্জাতিক আইন কিংবা সামাজিক মূল্যবোধের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ হলে ব্লগ প্রশাসন ব্লগারকে আগাম বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বা না দিয়ে ব্লগটি অপসারণ করতে পারে।

৫. কোনো ব্লগারের অবৈধ বা বেআইনি কর্মকাণ্ডের জন্য যদি প্রথম আলো মামলার সম্মুখীন হয় তবে মামলার সম্পূর্ণ খরচ উক্ত ব্লগারকে বহন করতে হবে।৬. আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক প্রথম আলো যে কোনো সময় কোনো আগাম বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বা না দিয়ে যে কোনো ব্লগারের লেখা অপসারণ করতে পারে।৭. ব্লগে প্রকাশিত লেখা সংরক্ষণের দায় প্রথম আলো বহন করে না।

ব্লগের নীতিমালা লঙ্ঘিত হলে

১. যে কোনো ব্লগার ব্লগের নিয়ম লঙ্ঘন করলে, কেউ কাউকে আক্রমণ করলে বা কেউ আক্রান্ত বোধ করলে ই-মেইলে বা ব্লগের অভিযোগ বাটনের সাহায্যে অভিযোগ জানাতে পারেন। এ বিষয়ে কোনো পোস্ট না দিয়ে ব্লগ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করাই কার্যকর পদ্ধতি বলে গণ্য হবে। ব্লগ কর্তৃপক্ষ অভিযোগ পর্যালোচনা করে নীতিমালা অনুসারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

২. কেউ ব্লগের নীতিমালা লঙ্ঘন করলে ব্লগ কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শিয়ে বা না দর্শিয়ে নীতিমালা ভঙ্গকারী লেখা প্রয়োজনে প্রথম পাতা থেকে অপসারণ করতে পারে, প্রথম পাতায় ব্লগারের লেখা প্রকাশের অধিকার রুদ্ধ করতে পারে কিংবা বিভিন্ন মেয়াদে ব্লগারকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে।

৩. ব্লগার একই বা ভিন্ন ভিন্ন অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটালে তাকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা হতে পারে।

৪. কর্তৃপক্ষ যে কোনো ব্লগ ও ব্লগারকে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই বাতিল করার অধিকার রাখে।



এই দীর্ঘ ও কঠোর বিধিমালা ব্লগারদের ব্লগিং এর স্বাচ্ছন্দ ক্ষুন্ন করবে বলে অনেকে মনে করেন। তাছাড়া আমন্ত্রণব্যবস্থাটিও মাহবুব মোর্শেদ ও তার সাগরেদ চামুন্ডাদের জন্যে খোলা।

কেউ কেউ ভাবছেন, এই নীতিমালা মূলত কিছু ব্লগারের ব্যক্তিগত অসুবিধার কথা চিন্তা করে তৈরি। উদাহরণ, ত্রিভুজকে বাংলা ব্লগে সবাই "ছাগুরাম" নামে চেনে এবং "ছাগু" নামে সম্বোধন করে। এ চর্চা ঠেকাতেই একটি ধারা বিধিমালায় ত্রিভুজের অনুরোধে সংযুক্ত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিধিমালাটি প্রস্তুত করার জন্যে প্রথম আলো ব্লগের মডারেশন কমিটিকেই দায়ী করা যায়। ঘোষিত তথ্য অনুযায়ী এর মডারেটর বিতর্কিত ব্লগার মাহবুব মোর্শেদ, যিনি স্বাধীনতাবিরোধী জামাতে ইসলামীর প্রতি সহানুভূতিসম্পন্ন একজন হিসেবেই ব্লগগুলিতে পরিচিত। সামরিক শাসনের প্রশংসা করেও তিনি মাঝে মাঝেই বিভিন্ন লেখা লিখে থাকেন। এমন একজন বিতর্কিত চরিত্রকে প্রথম আলো কেন ব্লগের দায়িত্বে রেখেছে, এ নিয়েও ব্লগারদের মধ্যে কয়েক মাস ধরে জল্পনাকল্পনা চলছিলো। কয়েকজন ব্লগার কোন উৎস উল্লেখ না করেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, যায়যায়দিনে চাকরির সময় থেকেই মাহবুব মোর্শেদ একটি স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠীর কাছ থেকে মাসোহারা পেয়ে আসছেন।

আরো উল্লেখ্য যে প্রথম আলো ব্লগ নিয়ে আলাপ আলোচনা করার জন্যে একটি গোপন সভা ডাকা হয়, যেখানে প্রথম আলোতে জাবেদ সুলতান পিয়াস লিখিত একটি খবর অনুযায়ী নিচের ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন।


১. প্রথম আলো ব্লগের বিভাগীয় সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ

২. প্রথম আলো ব্লগসাইটের কারিগরি নির্মাতা হাসিন হায়দার

৩. ব্লগার মিলটন

৪. ব্লগার সুমন রহমান

৫. ব্লগার রাজ্জাক

৬. ব্লগার অন্যমনস্ক শরৎ

৭. ব্লগার একরামুল হক শামীম

৮. সাজ্জাদ শরিফ

৯. মৃদুল মাহবুব

১০. সফেদ ফরাজী,

১১. মাহমুদ শাওন

১২. কৌশিক আহমেদ

১৩. মেহরাব শাহরিয়ার

১৪. ফারহান দাউদ

১৫. তারিক টুকু

১৬. ইফতেখার ইনান

১৭. নুরুন্নবী হাছিব

১৮. তাওহিদ মিলটন

১৯. ফেরদৌস আহমেদ তানিন


ইতোপূর্বে ব্লগাররা সন্দেহ করেছিলেন, মাহবুব মোর্শেদের মত একজন অর্ধশিক্ষিত ও মেরুদন্ডহীন লোক একা প্রথম আলো ব্লগের মতো সম্ভাবনাময় একটি ব্লগের দায়িত্ব নিজের বিবেচনায় পরিচালনা করতে পারেন না, তাকে বুদ্ধি দেয়ার জন্যে আরো কূটবুদ্ধিসম্পন্ন কেউ রয়েছে। সুমন রহমান সেই প্রশ্নের জবাবে শূন্যস্থানটি পূরণ করেন। সিঙ্গাপুরের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর গবেষণারত এই ভদ্রলোক নিজেকে ইদানীং কবি পরিচয় না দিয়ে ব্লগার হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন, যদিও তিনি পত্রিকায় একটি আর্টিকেল লিখে ব্লগারদের "শিক্ষানবিস লেখক" ডেকে উপহাস করেছিলেন।


ব্লগরাজনীতিতে সম্প্রতি নাম লেখানো প্লাটফর্ম প্রথম আলো ব্লগের প্রতি শুভকামনা ও অভিনন্দন।

Sunday 19 October 2008

দেখি, শুনি, লিখি

বাংলা ব্লগের বিস্তৃতির সাথে সাথে বাড়ছে ব্লগরাজনীতি। তৈরি হয়েছে ভিন্ন প্ল্যাটফর্ম, যোগ দিয়েছে ভিন্নমনা লেখক ও পাঠক, সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন দল-উপদল, বেড়ে উঠেছ গোপন ব্লগার সংগঠন, জন্ম নিয়েছে ব্লগীয় নেতা, মুফতি ও গুরু। ব্লগের সমাজে, বা নিভৃতে নিজস্ব ব্লগদ্বীপে বসে চলছে ব্লগরাজনীতির নিপুণ জাল বোনা।

আমরা এরই নীরব দর্শক, পাঠক ও শ্রোতা ছিলুম। নীরব আর রইবো না। যা দেখবো, যা শুনবো, লিখবো।

পাঠক, চোখ রাখুন বিদ্যাকুটুশে। আর ধন্যবাদ জানাই কবি ও গল্পকার সুমন রহমানকে, যাঁর চমৎকার ব্লগটির নামানুসরণেই আমাদের এই বীক্ষণব্লগটির নামাঙ্কণ।