this is the right time for the authorities to sit together and collaborate toবোঝা যায় – নিঃসন্দেহে আরিল তার ভার্চুয়াল সত্বার অস্তিত্ব নিয়ে চিন্তিত ।
protect the identities of all bangla bloggers, if all parties are willing.”
খানিক পরে আরিলের এ চিন্তার উনুনে কয়েক গ্লাস ঘি ঢালা মন্তব্য করেন ‘সচলায়তন’ ব্লগের কর্নধার অরুপ। তিনি বলেনঃ
সচলায়তন প্রতিষ্ঠার পরে সামহয়ারইনব্লগে "সচলায়তন" নামে একটি নিক খুলে বিভ্রান্তি
ছড়ানো হয়। আরিলকে অনুরোধ করেছিল এসএম মাহবুব মোর্শেদ নিকটি বন্ধ করতে। আরিল সম্মত
হননি। তার নিজস্ব ব্যাখ্যা ছিল... কিন্তু উদ্দ্যেশ্য যেখানে স্পষ্ট সেখানে সহযোগিতা
না করাটা ছিল হতাশাব্যঞ্জক... পুনশ্চ: নোটিশবোর্ড সেদিন দাবী করেছেন যে নিকটি ব্যান
করা হয়েছিল, আরিফ জেবতিকের সাম্প্রতিক লেখায় পড়লাম ব্যান করা হয় নিক তৈরির ১৯ দিন
পরে এবং তা অবশ্যই সচলায়তনকে ডিফেম করার জন্য নয়..
অরুপের এ কমেন্টের আজ ৪দিন পার হলেও আরিল কোনো জবাব দেন নি । অবশ্য এর আগেই আরিফ জেবতিকের এক পোস্টে ‘সচলায়তন’ নিক সৃষ্টি,কর্তৃপক্কের পক্ষ থেকে প্রশ্রয় এবং অনেক পরে মডারেশনের ঘটনা পরিষ্কার হয় মন্তব্যের ঘরে । সা-ইনের কর্তৃপক্ষ নিক নোটিশ বোর্ড এসে মিথ্যা সাফাই গাইলে তথ্য প্রমানসহ আরিফ জেবতিক জানান –
@নোটিশ বোর্ড :সচলায়তন নিকটি চালু হয়েছে : ০২ রা জুলাই, ২০০৭ সকাল ৮:৪৪ আর শেষডান্ডাবাজ নোটিশ বোর্ডকে কমেন্ট ব্লক করার এমন স্পষ্ট হুমকি সা-ইনে সম্ভবত এটাই প্রথম । ঐ পোষ্টে সা-ইনের মডারেটর বলে পরিচিত আরিল-জানা-দেবরা বা তাদের নোটিশ বোড নিকটিকে আর কমেন্ট করতে দেখা যায়নি ।তবে এরপর কথা বাড়িয়েছেন ব্লগার আছহাবুল ইয়ামিন, যাকে ব্লগস্ফিয়ারের কেউ কেউ সা-ইনের অঘোষিত মডারেটর বলে মনে করেন ।
পোস্ট দিয়েছেন ঐ নিকধারী : ২১ শে জুলাই, ২০০৭ রাত ১:১৬ মাঝখানে ব্যবধান হচ্ছে ১৯
দিন । আর ঐ নিককে ব্যান করা হয়েছে সম্ভবত: তার ইতিহাস সংক্রান্ত মিথ্যা তথ্য
পরিবেশনের দায়ে । কোনভাবেই অন্য সাইটের নামের সাথে তার নামের মিলের জন্য নয় । অথচ আপনার কমেন্টটি এখানে বিভ্রান্তি তৈরী করছে । ভবিষ্যতে এ ধরনের কোন কমেন্টের
কারনে যদি আমার মনে হয় যে আপনি আমার ব্লগে বিভ্রান্তি তৈরী করছেন , তাহলে আপনাদের
"নোটিশ বোর্ড " নিকটি ব্লক করে দেয়া হবে ।
যতই পারষ্পরিক বোঝাপড়ার কথা বলা হোক না কেন, আরিলের নৈতিক পরাজয় এবার সুস্পষ্ট হয়ে উঠলো । মনে হলো, সচলায়তন নিক নিয়ে ইভিল পারপাস সার্ভ করার যে চর্চাকে প্রশ্রয় আরিল দিয়েছিলেন ঠিক একই চর্চায় ফেঁসে গেলেন আরিল নিজে ।
প্র-আ-ব্লগের পক্ষ থেকে সা-ইনে সাফাই পোষ্ট দিয়েছেন কবি-গবেষক-গল্পকার-ইদানিংব্লগার সুমন রহমান। তিনি নৈতিকতার অবস্থানে প্রতিবাদ জানানোর কথা বললেও অনেকটা সুশীল কায়দায় জানান এ ব্যাপারে আইনী কিছু করার নেই । বটম লাইনে “বিষয়টা পরিষ্কার থাকা ভাল” বলে তিনি এক রকম সিদ্দান্তও টেনেছেন । ইদানিংব্লগার সুমন রহমান প্র-আ-ব্লগের উপদেষ্টা হচ্ছেন এমন খবর ব্লগস্ফিয়ারে ভেসেছে আরো আগে। প্র-আ-ব্লগে সুমন রহমানের পোস্ট পড়লে বেশ কর্ত্রপক্ষ সুলভ ভাষা পাওয়া যায় ।
এক সময় সা-ইন কর্তৃপক্ষের তোষামেদকারি মাহবুব মোর্শেদ এখন প্র-আ-ব্লগের মুল মডারেটর । নিক হ্যাকের পাশাপাশি ১ম দিন থেকেই কড়া মড়ারেশনে নেমেছে মাহবুব মোর্শেদ । কমেন্ট ব্লক,নিক ব্যান এবং তার ব্যাখ্যা নিয়ে পোস্টাচ্ছে নিয়মিত।গালির ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষনা করলেও, রাজাকারকে কুত্তার বাচ্চা বলতে সমস্যা কোথায়, এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি মাহবুব মোর্শেদ বা সুমন রহমান ।
সুমন-মাহবুব (সু-মা) জুটি প্র-আ-ব্লগএর ডান্ডাময়নীতিমালাকে কতোটা ব্লগারমুখী করতে পারবেন, নাকি পারবেন না সেটাই এখন দেখার বিষয় । তার আগে আরেকটি অভিযোগের উত্তর দিতে হবে সু-মা জুটিকে; অভিযোগটি গুরুতর এবং বাংলা কমুনিটি ব্লগের ভবিষ্যতের জন্য জানার দরকার । অভিযোগ উঠেছে, জনপ্রিয় নিক গুলো ছিনতাইয়ের পেছনে মূল হোতা সু-মা জুটি এবং তাদের টেকনিক্যাল টিম । উদ্দেশ্য পরিস্কার, যাতে করে ঐসব নিকের মালিক গিয়ে প্র-আ-ব্লগে প্রতিবাদ করে, নিজের নিক ফেরত নেয় এবং এই আতংকে প্রতিষ্ঠিত অন্য সব ব্লগার গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে এবং প্র-আ-ব্লগের ব্লগার হয়ে উঠে ।
এটি যদি সত্যি হয় তবে সু-মা জুটিকেও একদিন আরিলের মতো নিক অস্তিত্ব রক্ষার আহবান জানাতে হবে । ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি সুমন রহমান না জানলেও তার বোসম-ব্লগার মাহবুব মোর্শেদ জানার কথা , যদি তিনি তার বিগত-গুরু শফিক রেহমানের পরিণতি বিন্দুমাত্রও মনে রাখেন ।
No comments:
Post a Comment